নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ জুলাই, ২০১৭ ১৯:২৩

আসামীকে নির্যাতন : কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্তে পিবিআই

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। থানার ভেতরে আসামীকে বে-আইনীভাবে আটক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছেন।

পিবিআই সিলেট-এর এডিশনাল এসপি সারওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পিবিআই সিলেট-এর ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম। তারা সকাল ১০টায় কোম্পানীগঞ্জ থানাবাজার পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাক্ষ্য ও বক্তব্য গ্রহন করেন।

ওসি আলতাফ কর্তৃক গত ১০ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবককে বে-আইনীভাবে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে তদন্ত দলের কাছে সাক্ষ্য প্রদান করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বাছির, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম,পশ্চিম ইসলামপুর ইউপি’র বর্তমান ইউপি মেম্বার আলী হোসেন, সাবেক মেম্বার চমক আলী, সাবেক ইউপি মেম্বার এখলাছুর রহমান, নির্যাতিত সাইদুর রহমানের ভাই  লুৎফুর রহমান এবং ব্যবসায়ী আক্কাস আলী ও মজনু মিয়া।

সাক্ষীরা গত ১০ জুন থানার ঢোলাখালের মৃত আকলম হোসেনের পুত্র সাইদুর রহমানকে আটক করে বিকেল ৩টা থেকে ১৩ জুন সকাল ১০ টা পর্যন্ত বে-আইনীভাবে থানায় আটক রেখে ওসি আলতাফ হোসেন কর্তৃক শারীরিকভাবে নির্যাতন করার কথা তদন্তদলকে জানিয়েছেন। তবে সাক্ষী আক্কাস আলী ও মজনু মিয়া আটক এবং নির্যাতন সমর্থন করে সাক্ষ্য দিলেও দিন-তারিখ বলতে পারেন নি।

পিবিআই সিলেট-এর ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম তদন্তে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনও পিবিআই-এর তদন্তদল মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তার সাথে তদন্তদলের দেখা ও কথা হয়নি বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, থানাবাজার পয়েন্ট থেকে থানার ঢোলাখাল গ্রামের সিকন্দর আলীর মেয়ে হালিমা আক্তার (১৮) ও একই গ্রামের মৃত আকলম হোসেনের পুত্র সাইদুর রহমানকে গত ১০ জুন আটক করে পুলিশ। হালিমা ও সাইদুরকে বে-আইনীভাবে থানা হেফাজতে তিনদিন রেখে ১৩ জুন দুপুরে সাইদুর রহমানকে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় আসামী করে ও হালিমাকে মামললার ভিকটিম বানিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। এ সময় আসামী সাইদুর রহমানের উপর চালানো হয় অমানষিক নির্যাতন। ওসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ এনে ঘটনার সুবিচার চেয়ে আসামী পক্ষে ১৪ জুন আদালতে একটি দরখাস্ত দাখিল করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত