হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০২ আগস্ট, ২০১৭ ০১:৩৫

‘মামলা বা জিডিতে পুলিশের টাকা চাওয়ার প্রমাণ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা’

হবিগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

হবিগঞ্জ জেলার কোনো থানায় মামলা বা জিডি করতে কোনো টাকা দিতে হবে না, যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সভা কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে হবিগঞ্জ জেলা নবাগত পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি যে এলাকায় কাজ করি ওই এলাকাকে পবিত্র রাখার চেষ্টা করি। তাই জেলার প্রধান সমস্যাগুলোকে সমাধানের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

সভায় পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেলার সমস্যাগুলো শুনেন এবং সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তার পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে অপসংস্কৃতি ও মাদকই যথেষ্ট। আমাদের দেশে এই ২ টি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম অপসংস্কৃতি ও মাদকের আগ্রাসনে ডুবে আছে। তাই সামাজিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। যারা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে ইউনিফর্ম পরে অযথা ঘোরাফেরা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স।

জেলাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধুমাত্র পুলিশকে দিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে এবং তরুণ প্রজন্মর মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

এরআগে মত বিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যম সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাংবাদিক ও পুলিশ এই দুই পেশার লোকদেরই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। প্রফেশনাল জায়গা থেকে আমরা এক জাতীয় কাজ করি। যেহেতু আমরা এক সাথে কাজ করব তাই মিডিয়া ও পুলিশকে ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না। তবে যে তথ্য দিলে তদন্তে ক্ষতি হবে সে অংশ বাদ দিয়ে সব ধরনের তথ্য নিশ্চিত করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম শামসুর রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সদর থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিনসহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত