শাহ শরীফ উদ্দিন

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৭:৩২

চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়ক : একপাশ চকচকে, অপরপাশে খানাখন্দ

সড়কের একপাশ একেবারে চকচকে। নতুন কার্পেটিং করা। অপর পাশটার অবস্থা একেবারে বিপরীত। খানাখন্দে ভরা। নানা জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। গর্তে জমেছে পানি। এই হলো সিলেট নগরীর চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কের অবস্থা।

মাত্র আধা কিলোমিটার সড়কের এই দুরাবস্থার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ভাঙ্গাচোরা সড়কে চলাচলের যাত্রী ভোগান্তি তো আছেই।

জানা যায়, মাস চারেক পূর্বে এই  রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে সিলেট সিটি কোর্পোরেশন। এরপর সড়কের এক পাশ কার্পেটিং করে ফেলে রাখা হয়। অপরপাশে কোনো কাজই হয়নি।

যের পাশে সংস্কার হয়েছে সে পাশ পাশটা উঁচু হয়ে আছে। অপর পাশটা নিচু। সংস্কার না করায় চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানাগামী এই রাস্তার ডান পাশে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি গর্ত। তাই এসব গর্ত এড়াতে উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

এই সড়কেই রয়েছে শাহজালাল (রঃ) এর মাজারসহ বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে সিলেটের বাইরে থেকে আগতদের অনেকেও প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এরকম একটি সড়কের এমন অবস্তায় ক্ষোব্দ নাগরিকরা।

নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমরান আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে শাহজালালের দরগায় প্রতিদিন অনেক মানুষ আসা যাওয়া করেন। কিন্তু রাস্তার অর্ধেক কার্পেটিং আর অর্ধেক ভাঙ্গা থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মানুষকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টাগামীর রাস্তার এক পাশ দিয়ে শুরু হওয়া কার্পেটিং চন্দন্টুলা পর্যন্ত গিয়ে থেমে আছে। অন্যদিকে রাস্তার এক পাশ কার্পেটিং এর কারণে  অন্যপাশ  নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি গর্ত। আর এসব গর্ত এড়াতে উল্টো পথ দিয়ে চলছে গাড়ি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

নগরীর কাজল শাহ এলাকার বাসিন্দা নিকুঞ্জ বিহারি বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন কোন না কোন কাজে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার এক পাশ অনেকগুলো গর্ত থাকায় উল্টো পথ দিয়ে অনেক গাড়ি চলে আসে। এতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর অাজিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির জন্য নগরীর চলমান সবগুলো রাস্তার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে নগরীর সকল রাস্তাগুলো একসাথে সংস্কার কাজ পুনরায় শুরু হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত