সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হবে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে। এরই মধ্যে বিয়ানীবাজারের মণ্ডগুলোতে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুতি। তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে মূর্ত করে তোলার চেষ্টায় প্রতিমা শিল্পীরা। ঢাকের বাজনা, শঙ্খধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় বিয়ানীবাজারের প্রতিটি গ্রামের মন্দির-মণ্ডপগুলো।

এদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

এবছর বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৩৪টি সার্বজনীন এবং ১৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দেবীর বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজা আর ৩০ সেপ্টেম্বর বিসর্জন। কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী রাত ১০টার মধ্যে দেবীর বিসর্জনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ রাত ৮টা।

শারদীয় উৎসব পালনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। দুর্গা দেবীর আগমনে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও প্রতিটি মন্দিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবছর দুর্গার আগমন নৌকায় আর গমন ঘোটকে (ঘোড়ায়)।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পূজা উপলক্ষে মণ্ডপ এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভিডিপি ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবেন।

বিয়ানীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অরুণাভ পাল চৌধুরী মোহন বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মণ্ডপের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলছে। আশা করছি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় সুন্দর ও সফলভাবে দুর্গা উৎসব সম্পন্ন হবে।