জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ২৩:৪৪

সুরমা কুশিয়ারাসহ সিলেটের প্রধান নদীগুলো খনন করা হবে: পানিসম্পদ মন্ত্রী

পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রধান প্রধান নদীগুলো খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অকাল বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে বৃহত্তর সিলেটে আমরা একটি ব্যয়বহুল নদী খননকাজ হাতে নিয়েছি। বিভাগের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াইসহ সিলেটের প্রধান প্রধান নদীগুলো খনন করা হবে। সম্প্রতি যাদুকাটা, রক্তি, পুরাতন সুরমা, বৌলাই নদী খননের কাজ হচ্ছে। এসব নদী খননের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। যাতে অকাল বন্যার কবলে না পড়ে কৃষকরা হাওরের বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারেন।’   

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হালির হাওরের পাড়ের আপার বৌলাই নদীর খননকাজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তিনি জেলার শনির হাওর, সোনামোড়ল হাওর, হালির হাওর ও জলডাঙ্গা হাওরের ডুবন্ত বাঁধ ও ক্লোজার পরিদর্শন করেন।

সুনামগঞ্জে নদী খননকাজের পরিদর্শন কালে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার কৃষির ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

এ বছর হাওরের পানি দেরিতে নামার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বন্যায় হাওর এলাকার নদীগুলোতে বেশি পরিমাণ পলিমাটি পড়েছে। অনেকে ভাবছেন হাওরের মধ্যে পানি আটকে আছে। আসলে হাওরে পানি আটকায়নি। হাওর ও নদীর পানি এক লেভেলে রয়েছে। হাওরের পানি নদীতে তীব্র গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। এজন্য মন্ত্রণালয় চিন্তিত। এ সমস্যা সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ করতে হবে।’

পরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের বৌলাই নদী খননকাজ পরিদর্শন করেন পনিসম্পদমন্ত্রী। হাওর এলাকা ও নদী খননের কাজ পরির্দশনে মন্ত্রীর সঙ্গে সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ সহ সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত