নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:৪৯

আসছে শীত, বাড়ছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা

চলছে অগ্রহায়ণ মাস। ঋতুর হিসেব হেমন্তকাল। এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে শীতের আগমনী বার্তা। গ্রামে চলছে ধান কাটার ধুম।  

কৃষাণ-কৃষাণীরা গোলায় ধান তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ আবার সবজির চাষাবাদে মগ্ন। এবার রোপা আমন ধানের ভালো ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাই গ্রামে ধান কাটায় এখন বইছে উৎসবের আমেজ।

সিলেটেরে দক্ষিন সুরমার দাউদপুর এলাকার কৃষক লাল মিয়া বলেন, অকাল বৃষ্টি ও কয়েকদফা বন্যার বোরো ধান তলিয়ে গেছে। তবে রোপা আমন ধান আল্লাহর রহমতে ভালই হয়েছে। এখন ধান কাটা চলছে। আশা করি অনেক ধান এইবার গোলায় তোলতে পারব।

শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শহরেও । তাই নগরীর ফুটপাতসহ বিপনীবিতানগুলোতে চলছে শীতের নানা রকম কাপড় বিক্রি। এমনকি নগরীর মোড়ে মোড়ে বসেছে শীতকালিন পিঠার দোকান। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নগরীর মোড়ে মোড়ে শুরু হয় ভাঁপা, চিতইসহ হরেক রকম পিঠা বিক্রির ধুম।

এদিকে নগরীর বেশিরভাগ মানুষই ইতিমধ্যে শীতের কাপড় কিনা শুরু করেছেন। ফলে নগরীর সকল বিপনীবিতানসহ ফুটপাতেও সরগরম শীতবস্ত্রের কেনাবেচায়।

রবিবার সরেজমিনে নগরীর আল হামরা শপিং সেন্টার, কাজি ম্যানশন, শুকরিয়া মার্কেট, জিন্দা বাজার মধুবন সুপার মাকেট, হাসান মার্কেট, মাহা বিপনীবিতান, আড়ংসহ বেশিরভাগ শপিং মহল ও ফ্যাশন হাউজে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা সরগরম  এছাড়াও নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠসহ ফুটপাতেও চলছে শীতবস্ত্রের বিকিকিনির ধুম। ব্যস্ত সময় পান করছেন লেপ-তোষক ও কম্বলের দোকানীরাও।

নগরীর  নয়াসড়কের মাহা বিপনীবিতানের স্বত্ত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, শীত উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় তোলা হয়েছে মাহায়। লন্ডন দুবাইসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলাদের বিভিন্ন রকম শীতের কাপড়ের সংগ্রহ করা হয়েছে। বিকিকিনিও ভাল চলছে। শীত যত বাড়বে বিকিকিনি আরো বাড়বে বলে মনে করেণ তিনি।

জিন্দা বাজারের কাজি ইলিয়াস এলাকার রাস্তার ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনছেন এহসান নামের একজন ক্রেতা। এসময় কথা হয় তার সাথে। এহসান বলেন, শীত এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। তবে আগে কাপড় কিনা ভালো। পছন্দমত কাপড় কিনা যায়। কিছুদিন পর দামও বেড়ে যাবে।

 কোর্ট পয়েন্ট কালেক্টর জামে মসজিদের সামনে ফুটপাতে বসে কম্বল বিক্রি করছেন ছয়ফুল মিয়া। তিনি বলেন, সকল ২০০ টাকা দামে পাতলা কম্বল বিক্রি করছি। এখনো শীত পুরোপুরি শুরু হয়নি। তাই পাতলা কম্বলের চাহিদা আছে বলে জানান তিনি।

কাজিম্যানশন মার্কেটের শাকিল ফ্যাশনের মালিক নজমুল আহমদ বলেন, শীতের জেকেট সহ বিভিন্ন রকম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের আনাগুনাও ভালো বলে জানান তিনি।

নগরীর পূর্ব সুবিদ বাজারের সুহান বেডিং স্টোরের ম্যানেজার সুহাগ আহমদ বলেন শীতের শুরুতেই মানুষ লেপ-তুষক বানানো শরু করে। এইবারও তার বেতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যে লেপ-তুষক বানানু শরু হয়েছে। সারা বছরের তুলনায় শীকালেই বেশি ব্যবসা হয়। এইবারও ভালো ব্যবসা হবে বলে অশা করছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত