নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ আগস্ট, ২০১৮ ১৪:১৯

শিক্ষার্থীদের রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফেরার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সারা দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও তাদের দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে সেগুলো বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও মর্মবেদনা প্রকাশ কর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সরকার নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শোক সংবরণ করে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন।

তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষকে দূর্ভোগে ফেলা এটা আন্দোলনের কোন পদ্ধতি হতে পারে না- এটা শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন,  এবার শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবেন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সকল দাবি বাস্তবায়ন করে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করা হবে বলেও এসময় তিনি উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীরা সড়ক দুর্ঘটনায়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি রেখে নতুন আইনের দাবি জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে উঠবে বলে জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন শুরু হলে তাদের ক্ষোভ কমে আসবে আশা প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, তখন শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করবে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই সংগ্রামকে ‘শিক্ষা পরিবারের সংগ্রাম’ অভিহিত করে তিনি বলেন, “খুনি চালকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও চাপ অব্যাহত রাখা হবে।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক বন্ধ করে ‘নৈরাজ্য’ চালাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “তাদের উচিত যান চলাচল স্বাভাবিক করে মানুষের চলাচল নিশ্চিত করা।”

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি  কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও মেট্রোপিলটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত