নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০১৮ ১২:৩৮

নির্ধারিত স্থান ফাঁকা, যত্রতত্র কোরবানি

যত্রতত্র পশু কোরবানি না করে নির্ধারিত স্থানে করার জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হলেও সে অনুরোধ রাখেনি নগরবাসী। পবিত্র ঈদ-উল আজহার দিন বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে যে যার মতো কোরবানি দিয়েছেন রাস্তাঘাট, অলি-গলি, বাড়ির গ্যারেজ, কিংবা বাড়ির সামনের খোলা জায়গায়। এতে করে নগরীর পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা।

তবে পরিবেশ দূষণ রোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ঈদে পশু কোরবানির জন্য নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ৩২টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এদিকে বুধবার ঈদের দিন নগরী ঘুরে দেখা গেছে সিসিক নির্ধারিত স্থানগুলো একেবারেই ফাঁকা।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা না থাকা ও নির্ধারিত স্থানে সুযোগ সুবিধার অভাবেই এসব স্থানের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি বেশিরভাগ নাগরিক।

তবে সিসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে তা আরও বাড়বে।

তাছাড়াও এ বিষয়ে প্রচার চালানো এবং কোরবানির স্থানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেও সিটি করপোরেশন থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।

নগরীর উপশহর এলাকায় বাসার সামনের গলির রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছিলেন কাবুল মিয়া। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই স্থান বাসা থেকে অনেক দূরে। সেখানে কোরবানি দিয়ে মাংস নিয়ে আসারও কোনো সুবিধা নেই। ফলে বাসার সামনেই কোরবানি দিয়েছি। কোরবানির পর আমরা নিজেরাই আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়েছি।

বুধবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। বাসার সামনেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। আবার নগরীর বেশীরভাগই ওয়ার্ডেই নির্ধারিত স্থানে একটিও কোরবানি দেওয়া হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত