বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গবীরের শততম জন্মবার্ষিকীকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে নিয়ে স্বরচিত ছড়া, কবিতা সম্বলিত ম্যাগাজিন ‘মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর ওসমানী’ প্রকাশ করা হবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানা- পুলিন রায়, আহবায়ক, স্বরচিত লেখাপাঠ ও ম্যাগাজিন প্রকাশনা উপ-কমিটি, মা-কমিউনিটি সেন্টার, ধোপাদিঘীর পূর্বপার, পো: ও জেলা- সিলেট।

আগামী ৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মা-কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবীর ওসমানীকে নিয়ে স্বরচিত লেখা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩১ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিলেট নগরীর ধোপাদিঘির পূর্বপারস্থ মা-কমিউনিটি সেন্টারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিষয় ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চিত্রাঙ্কনের বিষয়- জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্মৃতি সৌধ ও বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর প্রতিকৃতি। রং পেন্সিল ও তুলি নিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি করতে হবে। উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কনের বিষয় ‘‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবীর ওসমানী’’ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি করতে হবে। উভয় গ্রুপে প্রথম ৩জনকে পুরষ্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়া অংশ গ্রহণকারী সকলকেই সনদপত্র প্রদান করা হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণে ইচ্ছুকদের ৩১ আগস্ট বেলা আড়াইটার মধ্যে মা-কমিউনিটি সেন্টারে এসে নাম নিবন্ধন করতে হবে।

রচনা প্রতিযোগিতা দু’গ্রুপে বিভক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়। মাধ্যমিক ক-গ্রুপের বিষয় ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী’, ৫শত শব্দের মধ্যে। উচ্চ মাধ্যমিক/বিশ্ববিদ্যালয় খ-গ্রুপের বিষয় ‘বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবীর ও মহান মুক্তিযুদ্ধ’ এক হাজার শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। আগামী ২১ আগস্টেও মধ্যে ধ্রুব গৌতম, আহবায়ক, রচনা ও প্রকাশনা উপ-কমিটি, মা-কমিউনিটি সেন্টার, ধোপাদিঘির পূর্বপার, পো: ও জেলা সিলেট ঠিকানায় সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

১ সেপ্টেম্বর শনিবার বঙ্গবীর ওসমানীর শততম জন্মবার্ষিকী রাত ১২টা ১ মিনিটে শততম জন্ম দিনের কেক কাটা অনুষ্ঠান ওসমানী জাদুঘর সিলেটে (বঙ্গবীর ওসমানীর বাস ভবন) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। সকাল ১০টায় ওসমানী জাদুঘরের সামনে থেকে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত একটি র‌্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও সকাল ১০টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল (র.) মাজার প্রাঙ্গণে খতমে কুরআন, বাদ জোহর দরগাহ মসজিদের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘‘প্রেক্ষাপট-৭১, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর ওসমানীর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ও মুক্তিযুদ্ধের উপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীরস্থ বঙ্গবীর জেনারেল এম,এ,জি ওসমানীর পৈত্রিক ভূমিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ‘বঙ্গবীর ওসমানী আমন্ত্রণ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর  সেমিফাইনাল ও ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনাল খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেট। পরিচালনায় থাকবে বঙ্গবীর ওসমানী স্পোর্টিং ক্লাব দয়ামীর। তত্বাবধান করবে ওসমানীর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটি ও স্পোর্টিং ক্লাব দয়ামীর।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর কর্মময় জীবনের উপর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বিশাল অবদান স্মরণে একটি পুস্তক ও ডকুমেন্টারি (প্রামান্য চিত্র) প্রকাশ করা হবে, তৎসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নাটক ও মুক্তিযুদ্ধের গান সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ইংরেজি।

১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং থেকে পুরো বছর ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হবে। পরবর্তীতে কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে। জন্ম শততম বার্ষিকী অনুষ্ঠানগুলো সফল ও সার্থক করতে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, ওসমানী অনুরাগী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক জেনারেল অব. হারুন অর রশীদ বীর প্রতীক ও সদস্য সচিব এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী (আবদাল)।

এদিকে (২৯ আগস্ট) বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় “বঙ্গবীর জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির জরুরী সভা মা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।