সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের উপস্থিতিতেই সাংসদকে বিতর্কিত ও উন্নয়নবিমুখ আখ্যা দিয়ে ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় এ ঘোষণা দেন আবু জাহিদ। ওই সভায় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আবু জাহিদ বলেন, স্থানীয় সাংসদ উন্নয়ন বিরোধী, একই সাথে বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দক্ষিণ সুরমা বিদ্বেষী মনোভাবে কারণে বিতর্কিত।

আবু জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, সাংসদের কারণে দলের ভাবমূর্তি তৃণমূলে চরম সংকটে। উন্নয়ন নেই, দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন নেই।

সকাল ১১ টায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে এমপি কয়েস বলেন, সামনে নির্বাচন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের এখন সময় নেই। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এখন উন্নয়ন করলে বিষয়টি বিতর্কিত হবে।

এরপরই বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ। তিনি বলেন, দলীয় সমর্থনে তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, কিন্তু সংসদ সদস্যের বৈষম্যমুলক আচরণে কারণে এলাকার উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। এমপি উন্নয়নে পথে বন্ধ করলে, বাকি জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে কোন মুখে যাবে।

আবু জাহিদ বলেন, এমপির ইচ্ছে অনিচ্ছার উপর যদি উন্নয়ন নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে আমাদের অবস্থান কি?

তিনি বলেন, আমরা হাওয়ার ওপর নির্বাচিত হইনি। দল ও জনগণের নিকট আমাদের জবাবদিহি করতে হয়, তাই উন্নয়নের পথ কোনভাবে রুদ্ধ করা যাবে না।

আবু জাহিদ এসময় এমপির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম আগামী জাতীয় নির্বাচন আমি নির্বাচন করবই। আমরা এই এমপিকে আর চাই না। জনগণও চায় না, নৌকার সর্মথকরা চায় না।

বৈঠকের পর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ বলেন, আমি এমপির সামনে জনগণের ও দলের কথা বলছি। নিজের প্রার্থিতার কথা বলছি। বর্তমান এমপি নির্বাচন করতে চাইলে আমি দল ও উন্নয়ন বঞ্চিত জনগণের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। তা হবে একটি শিক্ষণীয় ইতিহাস।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা পান্না, চেয়ারম্যান মখন মিয়া, আবুল কালাম, হাবিব হোসেন, খলিলুর রহমান খলিল, ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা, মাওলানা সুলেমান প্রমুখ।