বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৯ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:৪০

বিশ্বনাথে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ সদস্য হাসপাতালে

সিলেটের বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে ফারুক মিয়া নামের এক হতদরিদ্র কৃষকের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গভীর ঘুমে অচেতন থাকায় স্ত্রী শিশু সন্তানসহ ৬ জনের সমস্ত শরীর আগুনে ঝলসে যায়। অগ্নিদগ্ধ ৬ জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ আগস্ট) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রহিমপুর পূর্বপাড়া (রামপুর) গ্রামের হতদরিদ্র ফারুক মিয়ার নিজ বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন, কৃষক ফারুক মিয়া (৫০), তার স্ত্রী চম্পা বেগম (৪০), মেয়ে রিফা বেগম (১৯), ছেলে এমাদ মিয়া (১৬), এমরান মিয়া (১৪) ও মিজান মিয়া (১২)।

চম্পা বেগম ও তার মেয়ে রিফা বেগম ও ছেলে মিজানের অবস্থা আশংকাজনক জানিয়ে তাদের নিকটাত্মীয় ডা. আব্দুর রউফ আল নোমান, বিশ্বনাথ বনিক সমিতির কমিশনার আব্দুল মতিন রনি ও লেখক শাহীন উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তারা এ অসহায় পরিবারকে সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাতের খাবার শেষে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন কৃষক ফারুক মিয়া। মশার তীব্র যন্ত্রণা সামাল দিতে কয়েল জালিয়ে সোফার সেটের নিচে রেখে দেন। এ সময় ফ্যানের বাতাসে সোফায় কয়েলের আগুন ধরে যায় এবং বসত ঘরের বিদ্যুতের ওয়ারিংয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধীরে ধীরে সমস্ত ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গভীর ঘুমে অচেতন থাকায় কৃষক ফারুক মিয়া, তার স্ত্রী চম্পা বেগম, শিশুপুত্র মিজানসহ পরিবারের ৬ জন আগুনে ঝলসে যান। তাদের চিৎকার শুনে বাংলো ঘরে ঘুমে থাকা ফারুক মিয়ার বড় ছেলে রাজু মিয়া ছুটে এসে পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে আগুন নিভাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এর আগেই বসত ঘরের মালপত্র পুড়ে যায় এবং তার বাবা-মা-ভাই-বোনও আগুনে ঝলসে যান। পরে দরজা ভেঙে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত