নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:০৫

সিলেটে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় প্রদান করেন।

আদালতের ঘোষিত রায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন জকিগঞ্জ থানার অজরগ্রামের গেদাই মিয়ার ছেলে তাজ আহমদ(৩৬) , একই উপজেলার ইছাপুর গ্রামের মৃত ডালুমিয়া ওরফে মছদ্দর আলীর ছেলে শুকুর (৩০), সুলতানপুর গ্রামের সরাফত আলীর ছেলে খলু মিয়া (৩৬) , ইছাপুর গ্রামের আব্দুর রকিব এর ছেলে পুছন (২৮) ও একই গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে আবদুর রশিদ (২২)। ওই মামলায় অন্য দুই অভিযুক্ত অজরগ্রামের হাছন আলীর ছেলে মাহতাব (৪০), ইছাপুরের আবদুর রহমানের ছেলে কালা মিয়া (৪৫) মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আব্দুর রশিদ পলাতক রয়েছে। আর অন্যান্যরা কারাগারে আটক আছে। রায় শেষে বিকালে আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ সকালে ভারত-বাংলাদেশেরে সীমান্তবর্তী এলাকার কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলতে থাকে আব্দুর রশিদ ও শুকুর। তাদের বালু ও পাথর  উত্তোলনে বাধা দেন ৫ নং জকিগঞ্জ ইউপির লাল গ্রামের আব্দুল হক মাস্টারের ছেলে ইমদাদুর রহমান (৩৬)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুকুর ও তার সাথের লোকরা মিলে ইমদাদকে প্রাণে হত্যার জন্য আঘাত করে। এতে ইমদাদ প্রাণ রক্ষার্থে কুশিয়ারা নদীতে ঝাপ দেন।

 এ খবর পেয়ে ইমদাদের ছোট ভাই বিডিআর নিয়ে গিয়ে কুশিয়ারা নদীতে জাল ফেলে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৪(৩)০৭ ইং। এ মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র নং ১৫৫ দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী কামাল হোসেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার কার্য শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও  ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।  রায়ে হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে যাব্বজীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের দন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়।

মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন, এডিশনাল পিপি আইনজীবী জসিম উদ্দিন ও বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া সোহেল ও অ্যাডভোকেট একেএম সমিউল আলম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত