বড়লেখা প্রতিনিধি

২৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:১২

কে হচ্ছেন বড়লেখার নতুন চেয়ারম্যান?

বড়লেখা ইউনিয়ন উপ-নির্বাচন আজ

রাত পোহালেই ভোট। ইতিমধ্যে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন ভোটাররা অপেক্ষায় আছেন ভোট দেওয়ার। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বড়লেখা ইউনিয়নের ১০টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ভোট গ্রহণের দিন সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন হলেও বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। কে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মাঝে চলছে তুমুল আলোচনা।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এনামুল হক।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা ইউনিয়নে ১০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৭ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫৫৪ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৬২৪ জন নারী ভোটার। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার জন্য ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার দিনভর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। সদর ইউনিয়নের সকল এলাকায় দেখা গেল বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

উপ-নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বড়লেখা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা ও বড়লেখা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বড়লেখা ইউনিয়ন (সদর) পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়ের আহমদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন এবং জয়লাভ করেন। নির্বাচন কমিশন গত ৭ মার্চ পদটি শূন্য ঘোষণা করে। পরে ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৭ জুন নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এনামুল হক (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি, র‌্যাব সদস্যরাও কাজ করবেন।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১০ ভোটকেন্দ্রে ৯০ জন পুলিশ, ১৭০ জন আনসার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪টি মোবাইল টিম, ১টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১টিম স্ট্যান্ডবাই ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। অতিরিক্তি পুলিশ সদস্যও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোনোভাবে বিশৃঙ্খলা যেন না হয় এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন উপহার দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত