কুলাউড়া প্রতিনিধি

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:৫৪

১০৯ থেকে খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ইউএনও

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরীর বাল্য বিয়ে ঠেকালো উপজেলা প্রশাসন। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ থেকে খবর পেয়ে এই বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।

জানা যায়, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী সাথে একই ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসীর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার। মঙ্গলবার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ নাম্বার থেকে এই বিয়ের খবর পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। এরপর ওই কিশোরীর বাবাকে ইউএনও তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আনেন। সেখানে কিশোরীর বাবা মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুছলেকা দিয়ে রেহাই পান।

বাল্য বিয়ের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে বুধবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাৎ সেলিনা ইয়াছমিন সরেজমিন ওই কিশোরীর বাড়িতে লোক পাঠান। সেখানে বিয়ের কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, শরীফপুর ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী ওই কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে। কিন্তু কিশোরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র থেকে তার জন্ম তারিখ পাওয়া যায় ১১-১২-২০০৫ ইং। এই প্রশংসাপত্রে কিশোরী অপ্রাপ্ত বয়স্কা নিশ্চিত হয়ে বাল্যবিয়ে রোধ করেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সেল ১০৯ থেকে খবর পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেই। বাল্যবিয়ে নিয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সরকার বাল্যবিয়ের উপর জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছে। আমরা সেই নির্দেশের কোন ব্যতয় ঘটতে দিবনা। সবাইকে সচেতন থেকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত