মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৬:৩৩

সে গঠনতন্ত্রের কী বুঝে, ওয়ালী সম্পর্কে নাসের রহমান

এম নাসের রহমান ও আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকী

বিএনপির ‘গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন’ করে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এনিয়ে পালটাপালটি বক্তব্য স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, সভাপতি কর্তৃক সহসভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে নাসের রহমান বলছেন, সে (ওয়ালী সিদ্দিকী) গঠনতন্ত্রের কী বুঝে! আর দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন সভার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ ডিসেম্বর জেলা সভাপতি এম. নাসের রহমানের বাহারমর্দনস্থ বৈঠকখানায় বিএনপির এক জরুরি সভার বরাত দিয়ে সংগঠনের সহ-সভাপতি আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেওয়ার তথ্য দেওয়া জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ-সভাপতি আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেওয়ার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ছাড়া কাউকে অব্যহতি দেওয়া যায়না। ওয়ালী সিদ্দিকির ব্যাপারে যে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে সভায় আমাকে কেউ দাওয়াত দেয়নি এবং জানায়ওনি।

এদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি কর্তৃক সহ-সভাপতিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতির এই সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সভাপতি কাউকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন না, কারণ বিএনপির গঠনতন্ত্র তাকে সে ক্ষমতা দেয়নি।

আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকী বলেন, কেউ যদি না জেনে শুনে অব্যাহতি দেওয়ার কথা প্রচার করে এটা তার ব্যক্তিগত দায়। এটা সংগঠন অনুমোদন করেনা। আমাকে অব্যবহিত দেওয়ার কথা প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে। আমি একজন পোড় খাওয়া ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মী। দলের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সংগঠনের সাথে জড়িত। দলীয় গঠনতন্ত্র, মূলনীতি সমূহ ও বিধিনিষেধ মেনে এ যাবতকাল চলেছি। ভবিষ্যতে এইভাবেই দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে বদ্ধপরিকর আছি।

তিনি আরও বলেন, আমি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারায় স্পষ্ট করে লিখা আছে, দলের কোন প্রাথমিক সদস্যকেও যদি অব্যবহিত, বহিষ্কার বা কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিতে হয় তাহলে তা দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা দলের চেয়ারম্যান নিজ বিবেচনায় তা করতে পারেন, অন্যকেউ তা পারেন না। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতিকে দলীয় গঠনতন্ত্রের কোথাও কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এভাবে জেলার সভাপতি কাউকে অব্যবহিত দেওয়ার এখতিয়ার নেই। অব্যাহতির দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ বা প্রচার করা জেলা সভাপতির দ্বারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসবে।

সহ-সভাপতি আবদুল ওয়ালী সিদ্দিকীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে এম. নাসের রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে এ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে নাসের রহমান বলেন, সে একটা মানসিক রোগী।  সে গঠনতন্ত্রের কী ...(গালি) বুঝে! সে বসে বসে বদমায়েশি করতেছে। তার সম্পর্কে কোন কথা বলতে হলে ‘ডোন্ট কল মি’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত