সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

০৩ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:২০

পিইসিতে সবাই ফেল, শাল্লার মারকুলি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মারকুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষায় সব শিক্ষার্থী ফেল করায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ শিক্ষককে কারণ দর্শাও (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, বিদ্যালয়টিতে গত বছর ২৯৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ৪৪ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে; কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩১ জন। সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দাস ১৩ বছর ধরে এখানে কর্মরত। এ কারণে তিনি প্রভাব বিস্তার করতেন। তাঁর নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকরা মাঝেমধ্যে স্কুলে এসে আবার স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। সমাপনী পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষক বেনু দাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ওই সময় চার সহকারী শিক্ষক স্কুলে যাননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয়ের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষক সুচিত্রা বৈষ্ণব, সুপ্তমা রানী দাস ও জ্যোতিবালা দাস চক্র করে স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। স্কুলের এই সমস্যার কথা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সঞ্জয় দাসের সঙ্গে শিক্ষা অফিসের সবার সুসম্পর্ক রয়েছে। আবার পাঁচ বছর ধরে কমিটি ছাড়া কার্যক্রম চলছে।

প্রধান শিক্ষক বেনু দাস বলেন, ‘আমি মাত্র দেড় বছর আগে স্কুলে আসি। এসে দেখি স্কুলে কোনো সিস্টেম নেই। সরকারি নিয়মে স্কুল চালাতে চাইলে সঞ্জয় দাসের নেতৃত্বে অন্য শিক্ষকরা একজোট হয়ে আমার বিরোধিতা করেন। স্কুলটিকে বাঁচাতে হলে শিক্ষা অফিসকে কঠোর হতে হবে। আমি দোষী থাকলে আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘ফলাফল খারাপের জন্য সকল শিক্ষকের নামে শোকজ পাঠানো হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত