কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ২১:৫৬

ভোলাগঞ্জে ১৪ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ ধ্বংস করেছে টাস্কফোর্স

উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পাথরখেকোদের কঠোর হস্তে দমনের সিদ্ধান্ত

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে ব্যবহৃত ১৭টি শ্যালো মেশিন ও ২৫০০ ফুট পাইপ ধ্বংস করেছে টাস্কফোর্স।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কোয়ারি লীলাইবাজার ও ১০ নম্বর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ধ্বংসকৃত এসব মেশিনের মূল্য ১৪ লক্ষ টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য। অভিযানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অংশ নেয়।

অভিযানের পাশাপাশি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। মাইকিংয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে যে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কেউ অবৈধ পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য্য জানান, আমরা ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই আছি। যান্ত্রিক উপায়ে পাথর উত্তোলন বন্ধে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি কোয়ারিতে অভিযান চালিয়ে ২৭ টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ২ হাজার ফুট পাইপ আগুনে পুড়ানো হয়। ওই দিন সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে আনোয়ার আলী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত শাহ আরেফিন, ভোলাগঞ্জ ও উতমা পাথর কোয়ারি এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এদিকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর, লীলাইবাজার, বাংকার এলাকা, শাহ আরেফিন ও উতমা পাথর কোয়ারিতে পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের কঠোর হস্তে দমন ও পাথর খেকো চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অভিযোগ করা হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর এলাকায় জনৈক আতাবুরের নেতৃত্বে একদল চাঁদাবাজি করছে। এ চক্রের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে পুলিশ দিয়ে সে সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। সভায় আতাবুর চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিএইচও ডাক্তার মাসুম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামাল উদ্দিন, বাবুল মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হোসেন, ওসি সজল কানু, পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক আবিদুর রহমানসহ বিজিবি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত