তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ২৩:০৬

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সাত বছরের শিশু মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ দ্রুত বিচারের দাবিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপজেলা সদরে আব্দুজ জহুর চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

‘খেলাঘর’ তাহিরপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়েরের সাত বছরের শিশু পুত্র তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ দ্রুত বিচার এবং শিশুর প্রতি সবধরনের সহিংসতা বন্ধে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

মানববন্ধন চলাকালে সংগঠনের উপজেলা সভাপতি গোলাম সরোয়ার লিটন, সহসভাপতি হুসাইন আহমদ তৌফিক,সাধারণ সম্পাদক মাকছুম আহমেদ, মেঘনা আক্তার, ফারিয়া কানিজ,নিলুফা ইয়াসমিন,নওরিন আক্তার,শাম্মী আক্তার,তমা, জোহা,পলি,জবা,লিজা, শাকিরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ, তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ,উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।

প্রসঙ্গত গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল হোসেন নিজ গ্রাম হতে নিখোঁজ হন। পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ হতে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপর শনিবার ভোররাতে উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে সিমেন্টের বস্তায় বন্দি অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ।

শিশু তোফাজ্জলের এক চোখ উপড়ে ফেলে ও এক পা ভেঙ্গে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার করে তার মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা। লাশের পাশে রাখা অপর একটি সিমেন্টের বস্তায় বাঁধা ৬টি ইট জব্দ করে থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে হত্যার পর অপর সিমেন্টের বস্তা ভর্তি ইটগুলো মরদেহের সঙ্গে বেঁধে গ্রামের সামনে থাকা সংসার হাওরের গভীর পানিতে ফেলে দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেছিল ঘাতকরা।,

ইতিমধ্যে শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন সন্দেহভাজন আসামি সারোয়ার হাবিব রাসেল (২১)। সম্পর্কে আসামি রাসেল তোফাজ্জলের বাবার আপন ফুফাতো ভাই অর্থাৎ নিহতের চাচা। এ ঘটনায় চাচা রাসেল, ফুফু শিউলি সহ সন্দেহভাজন সাত আসামী পুলিশি রিমান্ড শেষে জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত