বড়লেখা প্রতিনিধি

২০ জানুয়ারি, ২০২০ ১৪:১০

বড়লেখায় ৪ জনকে হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনায় দুই মামলা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল চা বাগানে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ চারজনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর ঘাতক শ্রমিকের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা ও অপমৃত্যুর দুটি মামলা করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার ভোরে বড়লেখার পাল্লারথল চা বাগান এলাকায় নিজ স্ত্রী-শাশুড়ি এবং দুই প্রতিবেশীসহ চারজনকে খুন এবং একজন প্রতিবেশীকে গুরুতর আহত করার একপর্যায়ে নিজে আত্মহত্যা করেন নির্মল কর্মকার নামে এক শ্রমিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী জলি বুনার্জি (৩০) ও শাশুড়ি লক্ষ্মী বুনার্জিকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেন নির্মল কর্মকার (৩৮)। eএ সময় ঠেকাতে গেলে প্রতিবেশী বসন্ত বক্তা (৬০) ও তার মেয়ে শিউলী বক্তাকেও (১৪) হত্যা করেন তিনি।

বসন্ত বক্তার স্ত্রী কানন বক্তাকেও (৪০) কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বিকেল ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সূত্র আরও জানায়, শনিবার রাতে বাগানের অস্থায়ী শ্রমিক নির্মলের সঙ্গে তার স্ত্রী জলির অনেকক্ষণ ঝগড়া হয়। এর জের ধরে গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জলিকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন নির্মল। ঠেকাতে গেলে প্রথমে শাশুড়িকে এবং পরে দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি।

ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন প্রতিবেশী কানন। বেঁচে যায় জলির আগের সংসারের মেয়ে চন্দনা (৯)। পাল্লাথল চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এই ছাত্রী পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে বাড়ি ঘেরাও করে। এ অবস্থায় নির্মল ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

দুই বছর আগে পাল্লাথল বাগানের বিষ্ণু বুনার্জির মেয়ে জলি বুনার্জিকে বিয়ে করেন নির্মল কর্মকার। তখন থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন এবং এ বাগানে কাজ করছিলেন। এর আগে নির্মল অন্য চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত