নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

২৭ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:৩৮

নবীগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

পথচারীসহ আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডস্থ ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা চলাকালে ছাত্রদলের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে পথচারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ সময় ৭টি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র এবং ১টি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ছাত্রদলের বিবদমান গ্রুপের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, সোমবার দুপুরে শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ ক্রমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন।

সভার শুরুতেই ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম সোহেলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই মঞ্চের চেয়ার দখলে নেয়। পরে ছাত্রনেতা রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠান মঞ্চে আসলে উত্তেজনা আরও বেগতিক হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সেন্টারের ভিতরেই চেয়ার নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা মারামারি শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। শুরু হয় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ইটপাটকেল ব্যবহার করেছে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ আহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ শহরে বলে জানা গেছে। ভাঙচুরকৃত ৭টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্রলীগের নেতা রাসেদ চৌধুরীর একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, ছাত্রদলের কর্মী সভায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। শহরে সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ২ জনকে আটক করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে ভাঙচুরকৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত