সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৮:২৯

তাহিরপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হামলা ও লুপাটের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করা হয়েছে। জোর পূর্বক দখলে নেয়া জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে এই মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বড়খলা গ্রামের গিতেন্দ্র পালের স্ত্রী বিনয় রানী পাল (৫০) থানায় এ অভিযোগ করেন।

উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য বড়খলা গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে রেনু মিয়া মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়।  

থানায় দেয়া অভিযোগে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বরখলা মৌজার জাদুকাটা, বৌলাই ও রক্তি নদীর ত্রি-মোহনায় থাকা বরখলা গ্রামের গিতেন্দ্র পাল ও তার স্ত্রী বিনয় রানী পালের ফসলী জমি, জোর পূর্বক দখলে নেন ইউপি সদস্য রেনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। দখল নেয়া ৬৫ শতাংশ জমির মূল্য ১২ লক্ষাধিক টাকা।

দখলে নেয়ার পর ওই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বিভিন্ন সুবিধাভোগী মহলের নিকট বালু পাথরের ডিপো-স্থাপনা তৈরির সুযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্য রেনু। গত প্রায় এক যুগ ধরে তিনি এই জায়গার ভাড়া হিসাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গিতেন্দ্র পাল তার স্ত্রী দখলীয় জমি ফিরে পেতে থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, ইউএনও, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। এরপর ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

সম্প্রতি ফের অভিযোগ করায় বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সকালে রেনু  ও তার লোকজন বিনয় রানীর বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক হুমকি ধমকি দেয়ার এক পর্যায়ে হামলা চালায়।  রানী পাল ও তার স্বামীকে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়।

এরপর ইউপি সদস্যের সহোদর মনু, হারুন, আতিকুল,শাহাজ, তাজ ইসলামসহ নয় জনের বিরুদ্ধে থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুপাটের অভিযোগ আনা হয়।

উপজেলার বড়খলা গ্রামের বিনয় রানী পাল বললেন, আমরা গরীব তাই প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য’র তার অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করতে দু’হাতে টাকা পয়সা খরচ করেন। এমনকি তার পেছনে প্রভাবশালী মহল মদদ জুগানোর ফলে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও ন্যায় বিচার পাইনি। বরং অভিযোগ করার সাথে সাথে উল্টো হামলা মামলা মারধর, হুমকি-ধমকি হয়রানীর শিকার হয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার একজন এসআইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত