প্রখ্যাত স্থাপত্যবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন, আমাদের ভাষা আন্দোলনে যারা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন, ওই সময় জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের সম্মাননা জানানো আমাদের দায়িত্ব। তাই আয়োজক সিলেট সিটি করপোরেশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে সিলেটে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আজকে যারা সম্মানিত হলেন তারা ছাড়াও আরও অনেক ভাষাসংগ্রামী রয়েছেন। তাদেরকেও আমাদের সম্মানিত করতে হবে। ফলে আজকের এই আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে আমি এই দাবি জানাই।

রোববার রাতে সিলেটে ভাষাসৈনিকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম'র যৌথ উদ্যোগে নগরীর একটি হোটেলের বলরুমে রোববার সিলেটের ৭ ভাষাসৈনিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ আয়োজনে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ (মরণোত্তর), সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরণোত্তর), শিক্ষাবিদ ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর), কমরেড আসাদ্দর আলী (মরণোত্তর) ও ডা. মো. হারিছ উদ্দিন (মরণোত্তর)-কে এই অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মরণোত্তর সম্মাননাপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিকদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের পক্ষে তার পুত্র আজিজুস সামাদ ডন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর পক্ষে তার মেয়ে অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদের পক্ষে আবু সালেহ মো. নাইম, কমরেড আসাদ্দর আলীর পক্ষে পরিবারের সদস্য নাফিজা খানম আশা এবং ডা. মো. হারিছ উদ্দিনের পক্ষে তার পুত্র ডা. সালেহ আহমদ আলমগীর সম্মাননা গ্রহণ করেন।

সন্ধ্যায় ওস্তাদ মধু খানের সেতার পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সিলেটের রাজনীতি, শিল্পসাহিত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ছয়শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।