কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৯:৩৩

টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন কমলগঞ্জ

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ টানা আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেছে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিস। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখায় কমলগঞ্জের চা বাগান, বিভিন্ন কল-কারখানা ও অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহকদের চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হয়েছে। একইভাবে লাইনে ত্রুটি দেখিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, এই অফিসের অধীনে প্রায় ৯২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার একাংশ সম্পৃক্ত রয়েছে এই লাইনে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বুধবার সকাল পৌনে আটটা থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত জোনাল অফিসের অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চা বাগান কারখানা, বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, হাটবাজারে মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসের নানা কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক নাগাড়ে গত দু’দিনে প্রায় ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ছিল কমলগঞ্জ। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা কারখানা সমুহ।

তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, ভানুগাছ বাজার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, শমসেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী প্রেমানন্দ দেবনাথ, আব্দুল মোত্তাকিন, বদরুল ইসলাম, রফিক মিয়া বলেন, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা মোটেও ঠিক হয়নি। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।

কবি শহীদ সাগ্নিক, কলেজ শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা, সোয়েব আহমদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবারও টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। এসময়ে বিদ্যুৎ অফিসে কারণ জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পড়াশুনায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গণেশ চন্দ্র দাশ বলেন, ঠিকাদাররা বিদ্যুৎ লাইনে কাজের জন্যে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে শ্রীমঙ্গল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা থাকায় পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তবে তাৎক্ষণিক সমস্যা হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থেকে সরবরাহ সম্ভব হয়নি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত