কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৫ মার্চ, ২০২০ ১৮:২৪

মাধবপুর লেকে পর্যটকদের দুর্বৃত্তের ‘মারধর’

ফাইল ছবি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলা নিকেতন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন পর্যটক।

শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে মাধবপুর লেকের পাশের একটি ধানি জমিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পরও এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা  ও এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সূত্র জানায়, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৩টার দিকে একটি নোহা মাইক্রোবাস যোগে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৮ জন পর্যটক গিয়েছিলেন মাধবপুর লেকে ঘুরতে। তারা লেকে যাবার আগে একটি ধানি জমিতে বসে মধ্যাহ্নভোজন সারছিলেন। এমন সময় ২টি মোটরসাইকেল যোগে ৬ বখাটে অতর্কিতে এসে এলোপাথাড়িভাবে পর্যটকদের পেটাতে শুরু করে।

পরে বিষয়টি পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলামকে অবহিত করার পর তিনি সেখানে যাবার  আগেই হামলাকারী চলে গেল। হামলায় আহত পর্যটকরা হবিগঞ্জের বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধবপুর ইউনিয়নের দুইজন জনপ্রতিনিধি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার বিকেলে মাধবপুর লেক এলাকায় হামলা চালিয়েছিল তাদের নেতৃত্বে ছিল সালমান আহমেদ (২৩), সজু আহমেদ (২১) ও  মিজান (২২)। তাদের বাড়ি মাধবপুর ইউনিয়নে। তারা প্রায়ই এখানে আসা পর্যটকদের উত্যক্ত করা থেকে শুরু করে মারধরও করে থাকে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলায় আহত নারী-পুরুষ পর্যটকরা ফেরার পথে তাকে পেয়ে মৌখিকভাবে ঘটনাটি অবহিত করে গেছেন। তারা সবাই হবিগঞ্জ অঞ্চলের। মাঝে মাঝে মাধবপুর লেকে এ ধরণের ঘটনা ঘটার কথাও তিনি স্বীকার করেছে তিনি।

তবে এমন অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করে অভিযুক্ত সালমান আহমেদ ও সজু আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, তারা এ ঘটনার সাথে যুক্ত নন। শনিবার বিকালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের এক ভাতিজা মারা যায়। সে কাজে তারা ব্যস্ত ছিলেন। অহেতুক কেউ তাদের নাম দিয়েছে বলে তারা মনে করেন।

কিন্তু মাধবপুর লেকের ঘটনার সাথে সন্ধ্যার আগের সড়ক দুর্ঘটনার মাঝে ২ ঘণ্টার ব্যবধান ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়ে দাবি করেন এ ঘটনার সাথে তারাই যুক্ত ছিলেন।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চা বাগান গেইটম্যান দাদু করের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারী ও হামলার শিকার পর্যটকদের কাউকেই পাননি। এমনকি হামলাকারীদের নাম পরিচয়ও জানতে পারেননি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত কোন অভিযোগও করেনি।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন,পর্যটক সহায়ক পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলামের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে লিখিত কোন অভিযোগ কেউ করেনি। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত