২৫ মার্চ, ২০২০ ১৮:৪৭
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় কমলগঞ্জের সর্বত্র দোকানপাট বন্ধে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেছে। এর আগে মৌলভীবাজার জেলার সর্বত্র ফার্মেসী, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল, রাস্তার পাশের দোকান, হোটেল রেস্তোরা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার পর কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দোকানপাট ও বিপণী বিতান খোলা রাখেন ব্যবসায়ীরা। এই খবর পেয়ে অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান শুরু করলে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়।
জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে কমলগঞ্জের হাটবাজারে দোকানপাট খোলা থাকছে কি না। থাকলেও কোন ধরণের দোকানপাট খোলা থাকছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। আগামিতে কি হচ্ছে বা হবে, কোনো দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় কিনা তা ভেবে সকাল থেকেই ক্রেতারা বাজারে অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে শুরু করেন।
বেলা ২টায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কমলগঞ্জ সদরের ভানুগাছ ও শমশেরনগরের হাট-বাজারে অভিযান চালায়। এসময় মানুষজন ফল থেকে শুরু করে কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। আকস্মিকভাবে পুলিশি অভিযানে দোকানীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এসময় ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়।
আলাপকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বলেন, সরকারি এ নির্দেশনা মাইকিং করে প্রচার করলে মানুষজন বাজারে আসতেন না। আজকের এ অভিযানের কারণে সাধারণ মানুষজনের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও জানান তারা।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হাট বাজারের জনসমাগম কমাতে মৌলভীবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার হাটবাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এখানে আতঙ্কের কিছু ছিল না। ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে প্রচার করে সরকারিভাবে এ নির্দেশনা প্রচার করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য সু-রক্ষায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষজনের সাতে প্রশাসনিক ও পুলিশ প্রশাসন থেকে কোন প্রকার খারাপ আচরণও করা হয়নি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশনায় ফার্মেসী, খাবার, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল ও জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বিপণী বিতান, রাস্তার ধারের চায়ের দোকান, হোটেল- রেস্তোরা বন্ধ রাখার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
আপনার মন্তব্য