করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে ঢাকার গাজীপুরে মারা গেছেন জহিরুল (২২) নামে এক গার্মেন্টসকর্মী। বুধবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত জহিরুল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের কাফিল উদ্দিনের ছেলে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে জহিরুলের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি মাহতাবপুরে এনে পারিবারিক গোরস্থানে কবর দেয়া হয়। পরে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে মৃতের বাবা-মাসহ ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠায়।

জহিরুলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত জহিরুল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার গাজীপুর এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে গত সপ্তাহ খানেক ধরে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরে তার মরদেহ গাজীপুর থেকে সিলেট কোম্পানীগঞ্জের বালুচর গ্রামের কুলসুমা (২৬) ও মালিক উস্তার (১৬) নামে দুই আত্মীয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাহতাবপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। পরে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেন স্বজনরা।

এদিকে এমন খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ মাহতাবপুর গ্রামে গিয়ে জহিরুলকে যারা গাজীপুর থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছে এবং লাশ ধোয়ানোর কাজে যারা ছিল জহিরুলের পিতা কফিল উদ্দিন (৫০), মা তাসলিমা (৩৫), স্বজন আব্দুল মনাফ (৭৫), আবুল বাদশা (৩৫), গাজীপুর থেকে লাশ নিয়ে আসা কুলসুমা (২৬), মালিক উস্তার (১৬)তাদের ৭জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, সংবাদটি জানার পরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ও তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় যোগাযোগ করেছেন। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন লাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগামী দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।