বড়লেখা প্রতিনিধি

০৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৩৬

বড়লেখায় ‘সঙ্কটে’ হাজারো পরিবার

বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে কেউ কোনও কাজ কর্ম করতে পারছে না। সে হিসাবে বড়লেখায় ৮০ হাজার পরিবারের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার পরিবারই নানা সঙ্কটের মধ্যে আছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় গরিব ও নিম্ন আয়ের ২২০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে বক্তব্যে এই তথ্য জানান। সোয়েব আহমদ নিজের উদ্যোগে ও কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং স্বজনের সহযোগিতায় এ সামগ্রী বিতরণ করেন।

স্থানীয় ত্রাণ ও দুর্যোগ কার্যালয়ের তথ্য মতে, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পরিসংখ্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং জরিপের তথ্যমতে, এখানে প্রায় ৮০ হাজার পরিবারের বসবাস।

করোনার দুর্যোগ মূহুর্তে বড়লেখায় নিম্ন আয়ের মানুষ; বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, সিএনজি অটোরিকশা চালক, দোকান কর্মচারী ও দিনমজুরসহ প্রায় সকল পেশার মানুষ ঘরের ভেতরে। নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, সিএনজি অটোরিকশা চালক, দোকান কর্মচারী ও দিনমজুরেরা চোখের সামনেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। করোনাভাইরাস সংকটে গরিব ও নিম্ন আয়ের এই মানুষরা কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

সোয়েব আহমদ আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে ধনাঢ্য ব্যক্তি পর্যায়ে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালে আমাদের মানুষ জন দুই বেলা ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবে। দ্রুত সময়ে বড়লেখার বিশাল কর্মহীন জনগোষ্ঠীর খাদ্য সহায়তা একসাথে সরকারের একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বড়লেখার সকল বিত্তবানকে আহবান করছি আপনাদের গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের খোঁজ নেন। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোরও খোঁজ রাখবেন। সরকারের পাশাপাশি শুধু জনপ্রতিনিধিরা খাদ্য সহায়তা দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। বেসরকারি উদ্যোগ সহায়তা এখন জরুরী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার, পরিবেশ মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ শাহাব উদ্দিন, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বড়লেখা উপজেলা পরিষদ থেকে ৮ হাজার ৩৫০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম।

বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান বলেন, অনেক মানুষ কর্মহীন হয়েছে। ছোটা কাজ করারও সুযোগ নেই। তাদের কষ্ট হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারিভাবে ২ হাজার ৮৫০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কাল-পরশু আরও ১ হাজার ২শ পরিবারে সহায়তা দেওয়া হবে। আরও ৬ হাজার পরিবারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। জেলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়েও বিতরণ করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত