নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ এপ্রিল, ২০২০ ০১:৫৩

করোনাকালে পানি পাচ্ছেন না নগরীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা

‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন’- সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক এমন প্রচার চালানো। যদিও নগরীর অনেক এলাকার বাসিন্দারা গত দুই-তিন দিন ধরে পানিই পাচ্ছেন না। তীব্র পানির সঙ্কটে ভুগছেন সিলেট নগরীর অন্তত ৪টি এলাকার বাসিন্দারা।

নগরীর কাজীটুলা, শাহীঈদগাহ গোয়াইটুলা, কালাশাহ মাজার এলাকাসহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা পানির সঙ্কটে ভুগছেন। পানি না থাকায় রান্নাবান্নাসহ প্রাত্যহিক কাজে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। করোনাভাইরাস জনিত সঙ্কট লকডাউন তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা বলছেন, নগরীর হাজারীবাগ ও গোয়াইটুলা এলাকার দুটি পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি এলাকায় পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এই পাম্পগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

তবে এসব এলাকার সিটি করপোরেশেনের কাউন্সিলরদের অভিযোগ, কিছুদিন পরপরই পাম্পগুলো বিকল হয়ে যায়। এ ব্যাপারে একাধিকবার সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বলা হলেও তারা কোনো স্থায়ী সমাধান করছেন না।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৭ নয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাশেদ আহমদ বলেন, আমরা এলাকাবাসীর পানির সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছি।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর গোয়াইটুলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি পানির পাম্পের পাশে বসে আছেন এলাকার বেশ কয়েকজন নারী। পাম্পের সামনে কলস লাইন রাখে রাখা। এই নারীদের অভিযোগ, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাম্পের পাশে অপেক্ষা করেও পানির দেখা পাননি তারা। পানি না থাকায় বাসায় রান্নাবান্না, গোসল, কাপড়ধোয়াসহ অন্য জরুরি কাজগুলো তারা করতে পারছেন না।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর বাসিন্দাদের জন্য প্রতিদিন পানির চাহিদা প্রায় ৮ কোটি লিটার। এর মধ্যে বর্তমানে সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি লিটার কোটি লিটার।

ফলে সব পাম্প সচল থাকলেও প্রতিদিন নগরীতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি লিটার পানির ঘাটতে থাকে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, হাজারীবাগ ও গোয়াইটুলায় দুটি পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত উঁচু এলাকাগুলোতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমরা পাম্পের মেরামত কাজ শুরু করেছি। দুইতিন দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, পানির অধিক চাহিদার কারণে পাম্পগুলো বিরতিহীন ভাবে চালাতে হয়। ফলে সংস্কারের পরও পাম্পগুলো মাঝেমাঝে বিকল হয়ে পড়ে।

আলী আকবর বলেন, এমনিতে আমাদের যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের জন্য ৩ থেকে সাড়ে কোটি লিটার পানির প্রয়োজন। কিন্তু নগরীতে পানির অনেক অবৈধ সংযোগ রয়েছে। তার সাথে আছে ভাসমান গ্রাহক। এসব কারণে পানির সংকট দেখা দেয়। আমরা অবৈধ গ্রাহক চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বন্ধ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত