কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:০৫

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কমলগঞ্জে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে জনসাধারণ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন মানছে না মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষজন। ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাট, বাজার ও পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে ভিড় করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতার পরও পাড়া-মহল্লায় অলি গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিশোর যুবক থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র চোখে পড়ছে। দেশে যখন করোনা ঝুঁকি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশজুড়ে মানুষের এই অবাধ ঘোরাফেরা বন্ধ করতে না পারলে, তাদেরকে ঘরে রাখতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি ইতালি-আমেরিকার মতো ভয়াবহ রূপ নেবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় করোনা ঝুঁকির প্রধান স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে টিসিবি পণ্যের ট্রাক এবং কাঁচা বাজারগুলো। ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। করোনা ঝুঁকির সতর্কতা অমান্য করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ঝুঁকি বেড়েই চলছে।

বাজারগুলোতে অধিক মাত্রায় দোকানিরা দোকান খোলার কারণে সেখানেও মানুষের ভিড় বেড়েছে। উপজেলার মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, পতনউষার, মাধবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে করোনা সতর্কতার কেউ কোনো তোয়াক্কা করছেনা।

করোনা সংক্রমণের অন্যতম স্থান হাট বাজারে কাঁচা বাজারগুলো। উপজেলার সব বাজারেই একই অবস্থা। মাছের দোকান, সবজির দোকান, মুদি দোকানের সামনে গায়ে গায়ে লেগে লোকজনকে বাজার করতে দেখা যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা, অনেকেই মুখে মাস্ক পর্যন্ত পরেননি।

স্থানীয়রা বলছেন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে কারফিউ জারি করতে হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে কঠোর হতে হবে।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, বিনা কারণে কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হলে তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তারপরও লোকজন মানচ্ছেন না। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভয় কাজ করছে না। আমরা কঠোর হয়েছি। সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত