নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:৩৫

হাসপাতাল থেকে পালানো সেই নারীকে পাওয়া গেছে

নানা নাটকীয়তা ও উদ্ভট ঘটনার পর অবশেষে সন্ধান মিললো ওসমানী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত সেই নারীকে। শনিবার বিকেলে বিমানবন্দর থানা পুলিশ খাদিমনগর ইউনিয়নের কাকুয়ারপাড়ে আমিনা বেগম নামের ওই নারীর সন্ধান পায। পরে পরিবারের সদস্যরা ওই নারীকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
 
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আজ বিকেলের কাকুয়ার পাড়ে ওই নারীর সন্ধান পাই। পরে আক্রান্ত নারীর বাবা-মা তাকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

পুলিশ জানায়, আমিনা বেগমের বাবা শফিক মিয়া খদিমনগরের লাখাউড়ায় বসবাস করছেন। তিনি সিলেটের আদালতের কর্মচারী। শফিক মিয়ার শ্বশুড় বাড়ি খাদিমনগরের কাকুয়ারপাড়ে। আর আমিনার স্বামী শাহীনের বাড়ি টাঙ্গাইলে।

বিজ্ঞাপন



কাকুয়ারপাড়ে আমিনার নানাবাড়িকে লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে গত বুধবার এক নবজাতকের জন্ম দেন আমিনা বেগম। ওই নবজাতক বৃহস্পতিবার মারা যায়।

ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের গাইনি বিভাগে সদর উপজেলার বিমানবন্দর থানাধীন খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দুজন প্রসূতি ভর্তি হন। দুজনের নামই আমেনা। দুজনেরই সন্তান প্রসবের পর মারা যায়। এরমধ্যে এক আমেনাকে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া অপর আমেনা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডেই আইসোলেশনে ছিলেন। তবে তিনি সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে বৃহস্পতিবার কোনো এক সময়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

বৃহস্পতিবার রাতে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসায় খোঁজ পড়ে আমেনার। তাকে না পেয়ে শুরু হয় তোড়জোড়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার খাদিমনগর রঙ্গিটিলা এলাকার আমিনা বেগম নামের এক নারীকে ধরে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া আমেনার বদলে ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়া আমেনাকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে।

পরে শুক্রবার বিকেলে ওই নারীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় শামসুদ্দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর আবার আসল আমেনার খোঁজে নামে পুলিশ। শনিবার বিকেলে যার খোঁজ পাওয়া গেলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত