সনেট দেব চৌধুরী ,শ্রীমঙ্গল

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৪:৪৪

হুমকির মুখে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প

টানা অবরোধে হুমকির মুখে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প। পর্যটক না আসায় পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

টানা অবরোধে হুমকির মুখে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প। পর্যটক না আসায় পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রতিদিন লোকশান গুনতে হচ্ছে রিসোর্ট ও হোটেল মালিকদের। এতে করে ষ্টাফ বেতন সহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন জেলার ছোট বড় হোটেল-মোটেল মালিকরা।
দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হরতাল আর অবরোধে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, চা গবেষনা কেন্দ্র, দৃষ্টি নন্দন চা বাগান, মনু ব্যারেজ, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, মাধবকুন্ড জল প্রপাতসহ সব গুলো পর্যটন কেন্দ্রের একই চিত্র। নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার পর্যটক বেড়াতে আসতেন এ জেলায়। আর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিদিন আসতেন ৭শ থেকে ৮শ প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক। কিন্তু এই সময়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মিরা। চলমান এই পরিস্থিতিতে হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।


লাগাতার অবরোধে পর্যটক না আসায় একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে পর্যটন নির্ভর জীবিকা নির্বাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন ক্ষতির সম্মুখিন।
পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পার্থ সারধী রায় বলেন, কিছুদিন ধরে চলা হরতাল অবরোধ এর কারনে আমরা অসহায় অবস্থায় আছি, কোন পর্যটক না থাকায় এ ব্যবসায় একেবারে ধ্বস নেমে গেছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে লাউয়াছড়ায় পর্যটক না থাকায় সরকার প্রতিদিন এখাতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্য।
এদিকে পর্যটন কেন্দ্র গুলোকে ঘিরে গড়ে উঠা জেলার রিসোর্ট ও হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লোকশান গুনছেন। প্রায় ৪ শতাধীক ষ্টাফ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাঁচ তারকা হোটেল গ্রান্ড সুলতানের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আরমান খান জানান, তাদের রিসোর্টে যেখানে ৭৫ ভাগ অতিথি থাকার কথা সেখানে আমরা শূন্যের কোঠায় চলে এসেছি। যে কারনে আগামী দিনগুলোতে আমরা কি ভাবে টিকে থাকবো তা নিয়ে অনিয়শ্চতার মধ্যে রয়েছি।
শ্রীমঙ্গল লেমন টি রিসোর্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম মিয়া জানান, হরতাল অবরোধ’র কারনে পর্যটকরা ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাদের বুকিং। এতে করে ষ্টাফ বেতন সহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পর্যটন শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজার জেলাকে হরতালের আওতামুক্ত রাখার দাবী জেলাবাসীর।






আপনার মন্তব্য

আলোচিত