সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:৩১

ইউএনওর ওপর হামলা: ২ অভিযুক্তকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যও ক্ষুব্ধ। এর আগে গত ৭ জুন তাকে বহিষ্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিও লেটার যুবলীগের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখন তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।

রাশেদ পারভেজ বলেন, ‌‘জাহাঙ্গীর যুবলীগের আহ্বায়ক হলেও সেই কমিটি হয়েছিল ৩ বছর আগে। সাধারণ নিয়মে ৩ মাসের বেশি সময় হলে সেই কমিটির কার্যকারিতা থাকে না। এরপরেও তাকে বহিষ্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও নিয়ে সুপারিশসহ কেন্দ্রে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কারণ তাদেরকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা জেলা কমিটির নেই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘অবশেষে জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাসুদ রানাকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন।’ তবে এখন পর্যন্ত কোন চিঠি পানটি বলে জানান তিনি।

এর আগে বুধবার রাতে ঘোরাঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তার ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। উভয়েরই শরীর ও মাথায় আঘাত লেগেছে।

গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথমে তাদের রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ঢাকায় আনা হয়। তার বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন।

পরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘোড়াঘাট থানায় তিনি এই মামলা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত