সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:১৯

এবারও অগ্রিম ঈদ উদযাপনে চাঁদপুরের ৪০ গ্রাম

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ ঈদুল ফিতরের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত জানাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবারের মতো এবারও দেশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আজ শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেছে।

বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে রমজান মাস শুরু ও ঈদ উদযাপন করে থাকে চাঁদপুরের কয়েক গ্রামের মানুষ। প্রতিবারের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

রমজান শুরুর মতো এবারও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের আগাম ঈদের প্রবক্তা হাজীগঞ্জের সাদ্র দরবার শরিফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ১০টার দিকে ঈদের জামাতের ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পির মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা গ্রামে সাদ্রা দরবার শরিফে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করেন আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি।

এরআগে গত ২২ মার্চ থেকে প্রথম রোজা পালন শুরু করেন এই মতের অনুসারীরা। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ২৯ রোজা হওয়ায় শুক্রবারই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা।

সাদ্রার মরহুম পিরের ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল মাদানি বলেন, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। যার ফলে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি।

আসাদুজ্জামান সুফি ও জাকিরসহ অন্য মুসল্লিরা বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ঈদ পালন করে আসছে। আমারও আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাকের অনুসারী হিসেবে ঈদ পালন করছি।

সাদ্রাসহ ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত