সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০১৬ ২২:৪৩

শিশু গণধর্ষনে সালিশ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দেলদুয়ারে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার পরিবর্তে গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা করায় নবনির্বাচিত এক চেয়ারম্যানকে পুলিশ আটক করে জেলে পাঠিয়েছে।

শুক্রবার রাতে পুলিশ উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়।

একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহান (১৮) ও কোপাখী গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৯ মে রাতে কোপাখী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে একই গ্রামের বখাটে সোহান, শাকিল ও শাহিন। এরপর এ ঘটনায় ৩১ মে রাতে এলাকার মাতবরদের উদ্যোগে কোপাখী গ্রামের সাবেক মেম্বার মতিয়ারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে বখাটেদের তিন লাখ টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করা হয়। পুলিশ বিষয়টি জানার পরে গ্রাম্য সালিশে শিশু গণধর্ষণের মীমাংসা করার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে আটক করে।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের বিচার গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা করা হয়। পরে ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত