সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০১৬ ২৩:০২

ঘুষ দাবি করায় স্ট্রোক করে কর্মকর্তার মৃত্যু

১০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করায় মানসিক চাপে (স্ট্রোক) মৃত্যুবরণ করেছেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিজিএম) দেলোয়ার হোসেন। অডিট করার কথা বলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ডেকে আনা হয় তাঁকে। পরে অডিট টিম তাঁর কাছে দশ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করায় মানসিক চাপের মুখে পড়েন তিনি। 

শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে এ ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তার মরদেহ মুক্তাগাছা থানায় রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম মুক্তাগাছা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে আসে অডিট করতে। কিন্তু অডিটে গরমিল থাকায় তলব করা হয় মুক্তাগাছা উপজেলার গোপালপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সাবেক কর্মকর্তা (বর্তমানে নোয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম) দেলোয়ার হোসেনকে।

অডিট টিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, হিসেবে গরমিলের বিষয় উল্লেখ করে দেলোয়ারের কাছে তারা দশ লাখ টাকা উৎকোচ চায়। শুধু তাই নয়, তার ওপর মানসিকভাবে চাপও সৃষ্টি করে অডিট টিমের সদস্যরা। হুমকি দেয়া হয়, দশ লাখ টাকা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি করা হবে।

অডিট কমিটির সদস্যদের এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে মানসিক চাপে স্ট্রোক করে দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী।

জানতে চাইলে মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মাহাবুব জানান, অডিট টিম দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে টাকা চেয়েছে বলে শুনেছি। ওই কারণে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মরদেহ পুলিশের হেফাজতে আছে। দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী থানায় এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ঘটনায় পল্লীবিদ্যুত শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে অডিট সংক্রান্ত কাজে বিআরইবির একটি অডিট টিম শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রশ্ন করে ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এ কারণে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বিআরইবির অডিট টিমে ছিলেন ডিডি মাসুদ রানা, এডি গৌতম, এডি শহিদ।

পল্লি বিদ্যুত সমিতির ওই নেতা আরো বলেন দুই মাস আগেও ওই অডিট টিম কিশোরগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে গিয়ে নগদ দুই লাখ টাকা ও মদ উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করেছিলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত