নিউজ ডেস্ক

১৯ জুলাই, ২০১৬ ২২:৩০

রাজশাহীতে পাঁচজনের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

রাজশাহীর চারঘাটের সারদা পুলিশ একাডেমির সুইপার কলনিতে মদ্যপানের আসর থেকে ফেরা পাঁচজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয়রা বলছেন, অতিরিক্ত মদ পানেই তারা মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা পুলিশ একাডেমির সুইপার কলোনির বাসিন্দা জহর লাল (৬৫), রঞ্জিত ঘোষের স্ত্রী গোধুনী রাণী (৭০), অনিল কুমার (৫৫) এবং চারঘাট পৌর এলাকার গোরশহরপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন (৫০) ও মুক্তারপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৫৫)।

রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, ঠিক কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ সুইপার কলোনিতে যায়। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, আগের দিন রাতে তারা চোলাই মদ পান করেছিলেন। দুপুর থেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুর কারণটির সত্যতা যাচাইয়ে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।

ওসি আরও জানান, পাঁচজনের মৃত্যুর পর সুইপার কলোনি থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেই প্রতিবেদন এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এছাড়া পরিবারের আবেদনে মাহাতাব উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্স ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক জানান, হাসপাতালে আনার পর তাদের পেটে মাত্রারিক্ত অ্যালকাহল মিলেছে। এতে মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে বলা যায়।

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, হেলাল উদ্দিন মৃত্যুর আগে মদপানের কথা স্বীকার করেননি। তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল। তবে অনিল কুমার তাঁদের কাছে মদ খাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁর কাছ থেকেই তাঁরা জানতে পারেন, হেলাল উদ্দিনও মদপান করেছিলেন। তারা আসলে ‘মিথাইল অ্যালকোহল’ বা ‘স্পিরিট’ পান করেছিলেন। এই পানীয় যাঁরা পান করেন, তাঁদের মুখে তেমন গন্ধ পাওয়া যায় না। শ্বাস–প্রশ্বাসের হার কমে আসে। দৃষ্টিশক্তিও কমে আসে। মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও সেই লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত