সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:০১

রায় ফাঁসের মামলা, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জামিন স্থগিত

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ব্যারিস্টার ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদিন ও মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আইনজীবী মিজানুর রহমান জানান, আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ১০ এপ্রিল এই বিষয়ে আবার শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ফখরুলের আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আপিল গ্রহণের পর জামিন চেয়ে আবেদন করেন সাকার এই আইনজীবী। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ফখরুলকে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে নিয়ে যান। রায় ঘোষণার পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। রায়ে সাকার আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ে সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তার ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত