সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ২১:৪৩

চট্টগ্রামে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ৩

চট্টগ্রামের কাজির দেউরি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সেখানকার রাস্তার পাশের দোকান ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগের ঘেরাও কর্মসূচির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি মোড় ও প্রবর্তক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর এবং সড়কে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় নগরজুড়ে যানজট ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। পরে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আরও অন্তত ছয়জন আহত হন বলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির জানান।

সংঘর্ষের ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, আমরা সুইমিং পুলের পক্ষে। কিন্তু খেলার মাঠ নষ্ট করে কখনোই সুইমিং পুল নির্মাণ দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে রাজনীতি তা কখনোই সমর্থন করে না। কিন্তু বিনা উসকানিতে কোনো অশুভ শক্তির বলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ এবং গুলি করা হয়েছে তা আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে চাই এবং নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গুলি করতে চেয়েছিল, তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল যা নিন্দনীয়। আমি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং যারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য পুলিশ বাহিনীর ভেতর থেকে এমন কর্মকাণ্ড করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

স্থানীয়রা জানায়,  চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের অন্যতম কারণ হচ্ছে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে একটি সুইমিং পুল তৈরি করছেন বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দিন।  কিন্তু সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন তাতে বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে আজ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের লোকজন কাজির দেউরির সুইমিং পুল এলাকার সমানে জড়ো হয়।

প্রতিবাদে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেখানে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা সুইমিং পুলের সীমানা প্রাচীর, রাস্তার পাশের দোকান, গাড়ি ও মিনিবাস এলোপাতাড়িভাবে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা প্রায় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ ফাকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত