ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

২০ জুন, ২০১৭ ২০:০১

ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির চিঠি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোসালপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত সোহেল রানা (১৭) ও হারুন অর রশিদ (২০) নামে দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান।

তিনি জানান, আমরা নিশ্চিত হয়েছি ভারতের কুমারীপাড়া এলাকায় দুই বাংলাদেশি বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন। পতাকা বৈঠক ও তাদের লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির খোসালপুর ক্যাম্প কমান্ডার আবু তাহের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আমরা প্রতিবাদপত্রসহ লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না বিএসএফ।

স্থানীয় এক গরু ব্যবসায়ীর প্ররোচনায় ভারতের অভ্যন্তরে রাখাল হিসেবে গরু আনতে গিয়ে নিহত হন সোহেল রানা ও হারুন। তাদের সাথে আরো অনেকেই ছিলেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে ভারতের কুমারীপাড়ায় একটি কলাবাগানের মধ্যে অবস্থানকালে বিএসএফ তাদের উপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল রানা ও হারুন নিহত হন। এসময় অপর একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।

নিহত সোহেল রানা মহেশপুরের বাকশপোতা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ও খোসালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। অন্য দিকে নিহত হারুন অর রশিদ মহেশপুরের শ্যামকুড় মসজিদ পাড়ার কাউসার আলীর ছেলে।

খোসালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভারতের কুমারীপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালেই আমরা লোকমুখে কানাঘুষা করতে শুনি।

মহেশপুরের শ্যামকুড় গ্রামের এনামুল হক জানান, হারুন আমার সাথে দেশী গরুর ব্যবসা করতো। গত দুই দিন তার সাথে আমার আর যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে গরু আনতে গিয়ে মারা গেছে।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত