সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ নভেম্বর, ২০১৭ ১০:৪৯

পাবনায় দুর্বৃত্তের হামলার শিকার ১ যুবলীগ কর্মী

পাবনার হেমায়েতপুরে এক যুবলীগ কর্মী আহমেদ আলীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১১ নভেম্বর ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাবনা সদরের  হেমায়েতপুর ইউনিয়নের টাঙ্কিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপালে ভর্তি করে। আহত যুবলীগ কর্মী হেময়েতপুর গ্রামের মৃত পায়ের উদ্দিনের ছেলে আহমেদ আলী ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের টাঙ্কিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আহমেদ আলী। এ সময় ওই এলাকার মৃত খলিল খাঁর ৫ ছেলে এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে বাড়িতে ঢুকে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহমেদের স্ত্রী চায়না খাতুন বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তাদের আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে আহমেদের স্ত্রী চায়না খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে সন্ত্রাসীরা এর আগেও হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল। শনিবার বিকেলে পাশের একটি জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা দলবল নিয়ে রাতে হামলা করে। এ সময় আমি আমার স্বামী বাড়িতে ছিলাম। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। আমি এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহিবুল ইসলাম বলেন, আহমেদ আলীর মাথায় লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথার বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পেয়েছেন। তার মাথায় ও মুখে ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা না পার হওয়া পর্যন্ত এই রোগীর অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক আরো জানান, মোবাইলের মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত