১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৪:৩৭
দারিদ্রে চিকিৎসা করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসা গরিব সাংসদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
তার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকেন্দার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ ইউসুফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, মরদেহ চট্টগ্রামে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি দুই ভাই, দুই বোন ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। একসময়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। পরে শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯১ সালে তিনি সিপিবি থেকে তৎকালীন আটদলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ চিরকুমার ছিলেন। তার কোনো অর্থবিত্ত ও সম্পদ নেই। তিনি ‘গরিব সাংসদ’ হিসেবে পরিচিত।
আর্থিক সংকটের কারণে জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি কষ্টে জীবন যাপন করেছেন। মফস্বল এলাকায় ছোট ভাইয়ের ছোট একটি চায়ের দোকানই ছিল পুরো পরিবারের সম্বল। তাই চিকিৎসার কোনো সুযোগ হয়নি বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন চট্টগ্রামের একজন সাংবাদিক। পরে বিষয়টি নজরে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন রাঙ্গুনিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে মোহাম্মদ ইউসুফকে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ৯ জানুয়ারি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তিনি মারা যান।
আপনার মন্তব্য