খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

১২ এপ্রিল, ২০১৮ ১২:২৮

হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে শুরু বৈসাবি উৎসব

বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ ও বিদায়ের মহান উৎসব বৈসাবি।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়ে চাকমা জনগোষ্ঠী উৎসবের প্রথম দিন ‘ফুলবিজু’ উদযাপন করেছে। আর ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এদিন পানিতে ফুল ভাসিয়ে পালন করেছে ‘হারি বৈসুক’।

শুক্রবার চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। আগামী ১৪ এপ্রিল পালিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও জল উৎসব ও বাংলা নববর্ষের র‌্যালি।

এর আগে খাগড়াছড়িতে বৈসাবিকে বরণ করতে বুধবার (১১ এপ্রিল) শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বের করা হয় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি। এদিন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে সকালে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ এতে অংশ নেয়। খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পৌর টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। টাউন হল প্রাঙ্গণে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল ও বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে ডিসপ্লে করে। এর আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় দিনব্যাপী বৈসাবি উৎসবের।

এসময় পাহাড়িরা নিজস্ব পোশাক, বাদ্যযন্ত্র ও বিলুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নিয়ে নেচে, গেয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু নামে এ উৎসব পালন করে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামকরণ করা হয়।

উল্লেখ্য ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে বৈসাবি নামের এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসবের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি উৎসব। বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নানা অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত