বেনাপোল প্রতিনিধি

০৯ মে, ২০১৮ ১৮:০৪

যশোরের শার্শা সীমান্তে ৯টি জেব্রা উদ্ধার

যশোর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার সাতমাইল গরুর খাটাল থেকে ৯টি জেব্রা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা(ডিবি) পুলিশ। তবে এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি।

মঙ্গলবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেব্রাগুলো উদ্ধার করে যশোর পুলিশ লাইনে রাখা হয়।

বুধবার (৯ মে) বিকাল ৪টার দিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পাচারকারী ৪ জনকে আসামী করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। জেব্রাগুলো বিভাগীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, শার্শার বাগ আঁচড়া সাতমাইল এলাকার আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে তুতু (৪০), বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে মুক্তি (৪৫), নরসিংদীর পলাশ থানার বকুল নগর গ্রামের আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার ছেলে রানা ভুইয়া (২৮) ও বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার বশিরকোড়া চকপাড়া গ্রামের আহাদ আলী সরদারের ছেলে কামরুজ্জামান বাবু (৩২) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিনটি সাতমাইল গরু খাটালের হাটের দিন থাকায় এদিন খাটালে খুঁটির সঙ্গে ১০টি জেব্রা বাঁধা ছিল। এর মধ্যে একটি জেব্রা মারা যাওয়ায় বাকিগুলো চিৎকার ও লাফালাফি করছিল। এ সময় উৎসুক জনতা পুলিশে খবর দিলে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯টি জেব্রা উদ্ধার করে। এর মধ্যে আরো একটি জেব্রা মারা গেছে বলে থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন জানান, পলাতক আসামিরা জেব্রাগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সাতমাইল হাটে তুতুর খাটালে বেঁধে রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯টি জেব্রা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটি জেব্রা মারা গেছে। জেব্রাগুলোর মোট মূল্য ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে শার্শা থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। জেব্রাগুলো বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত