সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০১৮ ০১:৫৮

ঈদের রাতেও প্রাণ ঝরলো পাহাড়ে

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় এমএনলারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী মিশন চাকমাকে (৩২) কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদুল আজহার রাত ১০টার দিকে বঙ্গলতলি ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে তাকে গুলি করা হয়।

খাগড়াছড়ি শহরে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতিসহ সাতজন নিহত হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় রাঙামাটিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে নিহত মিশন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সোর্স হিসেবে কাজ করতেন এবং তাকে যারা হত্যা করেছে তারা পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র ক্যাডার।

এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুসারেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমা জানান, ইউপিডিএফের উদয় বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে তাদের এ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে মিশনকে লাঠি দিয়ে ব্যাপকভাবে আঘাত করা হয়। পরে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ হতে পারে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ অগাস্ট) আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর পাড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতিসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হন আরও তিনজন। দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে শহরের পেরাছড়া এলাকায় মিছিল বের করলে সেখানে আবার হামলা হয়। সেখানে মারা যান একজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত