সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৭:০০

‘জামায়াত সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে পদ হারালেন গোবিন্দ প্রামাণিক

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে সংগঠনটির একাংশ। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিটিতে সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের এই নেতারা তার বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন।

সংগঠনের আদর্শ ও স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, আর্থিক অনিয়ম ও সংগঠনের নামে চাঁদা আদায় ও নানা অভিযোগে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তার এ শূন্যপদে জোটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায়কে মহাসচিবের পদ তথা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে গোবিন্দ চন্দ্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে জোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব উত্তম কুমার দাস, সাবেক সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জয়ন্ত কুমার সেনের স্থলাভিষিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. সোনালী দাস, সিনিয়র সহসভাপতি লায়ন বিমল কৃষ্ণ শীল, সহসভাপতি তপন কুমার হাওলাদার, চিন্ময় মজুমদার, নব দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায়, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিপন দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশে প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক দলের তাঁবেদারি করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। এটি কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন।

অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগঠনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে গত ২০১৫-১৬ সালের দিকের সাংগঠনিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে।

তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলের ভুল সংশোধন করে চলবেন এবং এরই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে মহাজোটের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংশোধিত পুনর্গঠিত হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে পুনর্গঠিত কমিটি সেই পূর্বের মতো আজ অবধি সুচারুরূপে কাজ করতে পারেনি গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘জোটের প্রধান সমন্বয়ক পদটি বিলুপ্ত করা হলো। বিজয় ভট্টাচার্য যেহেতু বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ নামে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন একটি সংগঠনের কর্ণধার, সেহেতু তিনি বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাকে মহাজোটের সকল সাংগঠনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।’

আরও বলা হয়, ‘‘অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক দীর্ঘ দিন যাবত সংগঠনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়গুলোর তদন্ত করার জন্য সংগঠনের সমন্বয়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তারক পদ রায়কে প্রধান করে, লায়ন বিমল কৃষ্ণ শীল, রাম কৃষ্ণ বিশ্বাস এবং ডা. হেমন্ত কুমার দাসসহ চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

‘এ কমিটির সুপারিশ ক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটি তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যে উদ্দেশ্যে মহাজোটটি গঠন করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। এটি হিন্দু মহাজোট না হয়ে হিন্দু মহা জটে পরিণত হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। আমরা এর অবসান কল্পে এ দেশের হিন্দুদের নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করার লক্ষে কাজ করে যাব।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত