সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মার্চ, ২০২০ ১৩:৪৮

অবশেষে ভেসে উঠলো নববধূ পূর্ণিমার নিথর দেহ

বিয়ে-বৌভাত শেষে নিজের স্বজনদের সঙ্গে নৌকায় চেপে ফিরানিতে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন কনে সুইটি আক্তার পূর্ণিমা। নৌকাডুবির ৬০ ঘণ্টা পর পাওয়া গেল পূর্ণিমার মৃতদেহ। নববধূ হয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়া পূর্ণিমার ফিরছেন, তবে লাশ হয়ে।

অবশেষে সোমবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার শাহাপুর নদীর ঘাটে ভেসে উঠে পূর্ণিমার মরদেহ। পরনে ছিল লাল টুকটুকে বেনারসি।

শুক্রবার (৬ মার্চ) ছিল পূর্নিমা ও রুমনের বৌভাত। সেই অনুষ্ঠান শেষে কনে ফিরছিলেন বাবার বাড়ি। সঙ্গের দুটি নৌকায় ছিলেন তার স্বজনরা। নৌকা দুটি মাঝপদ্মায় পৌঁছতেই তলা ফেটে যায় একটি নৌকার। ছিল প্রবল বাতাসও। তলা ফেটে যাওয়া নৌকার স্বজনদের বাঁচাতে আরেক নৌকায় তোলার চেষ্টা চলে। বাতাস আর দুই নৌকার যাত্রীদের হুটোপুটিতে ডুবে যায় দুটি নৌকাই।

বর রুমনসহ কয়েকজন সাঁতরে বাঁচলেও নিখোঁজ ছিলেন কয়েকজন। এক এক করে উদ্ধার করা হতে থাকে স্বজনদের মৃতদেহগুলো। রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা পাওয়া যায় সাতটি মৃতদেহ। কিন্তু তখনও মেলেনি কনে পূর্ণিমার মৃতদেহ।

অবশেষে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার শাহাপুর নদীর ঘাটে ভেসে ওঠে লাল টুকটুকে বেনারসি জড়ানো পূর্ণিমা। পবা উপজেলার ডাঙ্গেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে সে।

রাজশাহী নৌ-পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, মূর্ণিমার মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চারদিনের উদ্ধার অভিযান। শুক্রবার নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে তার মৃতদেহটিই পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ জনে। ঘটনার পর বিভিন্নভাবে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৩১ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত