বেনাপোল প্রতিনিধি

৩১ মার্চ, ২০২০ ২১:৪৭

করোনাভাইরাস: স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল

করোনার কারণে দেশে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় সারা দেশের মানুষ নিজ গৃহে বন্দী হয়ে পড়েছেন। সেজন্য স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। সেই সাথে বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। এছাড়া বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কয়েকশত এনজিও কর্মীও একই অবস্থায় পড়েছেন।

ভারত দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সিংহ ভাগ পণ্য আসে এই বন্দর দিয়ে। গত ২৪ মার্চ থেকে বৃহত্তর বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ। এতে করে, একদিকে সাধারণ মানুষ যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার।

প্রতিদিন সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। এপথে ভারত থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শত ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১ থেকে ২ শত রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারতের সাথে বেনাপোলের সুবিধাজনক হওয়ায় এপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বেশি হয়ে থাকে।

করোনাভাইরাসের কারণে এই বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। পাশাপাশি সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন এই অঞ্চলের বন্দর সংশ্লিষ্ট সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এই বন্দরে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এছাড়া কাস্টমস ও বন্দর অফিসে অনেক এনজিও কর্মীও কাজ করে। তারা সারাদিন কাজ করে যা পান তাই দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলে তাদের সংসার এমনই কথা জানালেন বেনাপোল বন্দরের কয়েকজন এনজিও কর্মী।

বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সজিব হাসান বলেন, আমরা এখানে কাজ করে যে টাকা পাই তাতে ভাল ভাবে সংসার আমাদের সংসার চলে যায়। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে সকল প্রকার লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা শ্রমিক সহ সকলে পড়েছি অসুবিধায়।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি কারক ঢাকার ফ্যাশান ট্রেডার্সের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশ লক ডাউন চলায় শিল্পকলকারখানার উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব শিল্প কারখানার শ্রমিকরাও বসে বসে দিন কাটাচ্ছে। ফলে মালিকরা পড়েছে লোকসানে।

সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি পণ্যবাহী কয়েক হাজার ট্রাক বেনাপোলের ওপারে আটকে আছে। আর বেশি অসুবিধা হচ্ছে পচনশীল পণ্যে। এপথে পিঁয়াজ, মাছ, পান সহ অনেক পচনশীল পণ্য আমদানি হওয়ায় অনেক পণ্য আটকে আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত