বেনাপোল প্রতিনিধি

১২ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৫১

এক সপ্তাহে বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ২৯৬ যাত্রী

বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিদেশ থেকে যাত্রীদের দেশে আসার পর কোয়ারেন্টিনে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আসা ২৯৫ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে আটকে পড়া বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীর চিকিৎসা ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরত আসলে তাদের জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বেনাপোল বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার গাজির দরগাহ নামে একটি মাদ্রাসায় রাখা হয়েছে।

২৯৬ জন পাসপোর্ট যাত্রীর মধ্যে ১৯৬ জন পুরুষ, ৮৫ জন নারী ও ১৫ জন শিশু। এদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির লাশ এসেছে। ফেরত আসাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার আগে তাদের গায়ে তাপমাত্রা বেশী না থাকায় ১৬ জন নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ বেলা ৪ টা পর্যন্ত ভারত থেকে এ পথে ৫০ জন নারী পুরুষ ও শিশু প্রবেশ করেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মহসিন কবির বলেন, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশী যাত্রীদের জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রহণ করছেন। এবং এসব যাত্রীদের প্রাথমিক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে ১৪৯ জন যাত্রীকে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছে। বাকি ১৪৭ জনকে ঝিকরগাছা উপজেলার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের লাউজানি গাজির দরগাহ নামে একটি মাদরাসায় রাখা হয়েছে। এদের খাবার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উপজেলা থেকে করা হচ্ছে। ১৪ দিন পার হলে যার যার বাড়ি চলে যাবেন। তবে তাদের কারো যদি করোনা সংক্রামক থেকে থাকে তাহলে ঢাকা অথবা অন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

অপরদিকে, সীমান্ত অঞ্চল বেনাপোলে সরকারী নির্দেশনা লক ডাউন সকলে মানছে না। সেনাবাহিনী পুলিশ একদিকে মাঠে কাজ করে আর এক দিকে গেলে আবার জনসমাগম দেখা দিচ্ছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি। তারপরও জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের একার পক্ষে সব কিছু সামাল দেওয়া অনেক কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যাবে। তাই সকল জনসাধারণকে তিনি সরকারি আদেশ মেনে চলার অনুরোধ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত