সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০১:৩৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার মসজিদে যাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক মসজিদে যাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরাইল থানার ওসি এ এম নাজমুল আহম্মেদ জানান, কাটানিসার গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকায় মসজিদে যাওয়া নিয়ে স্থানীয় মিজান মেম্বার ও মুনসুর মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে সকালে মিজান মেম্বারের প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন মনসুর মিয়ার পক্ষের লোকজনদের ওপর হামলা করে।

বিজ্ঞাপন

“পরে ইয়াছিন মুন্সির বাড়ির লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উল্লেখ তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বছর দশক আগে তিন বাড়ি মিলে একটা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এখন ওই পক্ষের কয়েকজন ইদানীং ওই মসজিদে না গিয়ে আরেকটি মসজিদে নামাজ পড়তে চায়। মিজান মেম্বারের লোকজন চাচ্ছিলেন তারা যেন ওই মসজিদেই নামাজ পড়েন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত এবং কয়েকটি বাড়ি ঘর ও দোকান ভাংচুরের শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলার সবচেয়ে দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা সরাইলে গত ৫ এপ্রিল একদিনেই উপজেলার টিঘর, বড়ইছড়া, বিটঘর, নোয়াগাঁও, ধরন্তি, সৈয়দটুলা (দুইটি ঘটনা) এলাকায় সাতটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বড়ইছড়ায় অর্ধশতাধিকসহ শতাধিক লোক আহত হন। ৩১ মার্চ সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ভুঁইশ্বর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার হওয়া দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়তে হয়। ২৬ মার্চ বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। ১২ এপ্রিল সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন।

বিজ্ঞাপন

করোনা পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই বরেণ্য ইসলামী আলোচক যুবায়ের আহম্মদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিও সারা দেশে আলোচনার জন্ম দেয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র মতে জেলায়, বুধবার পর্যন্ত জেলার ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন। মারা গেছেন দুই জন। আইসোলেশনে থাকাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত