সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪৩

২৫ জানুয়ারির মধ্যে আসছে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন

আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মহাপরিচালক বলেন, প্রথম ধাপে ৫০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন। চিকিৎসকসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধারা অগ্রাধিকার পাবেন।

গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সরকার। সমঝোতা স্মারকে বলা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে।

মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকা আসার পর দুই দিন তা বেক্সিমকো ফার্মার ওয়্যারহাউজে থাকবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে ২৬ জানুয়ারি নিবন্ধন শুরু হবে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’

টিকা বিতরণের বিস্তারিত তুলে ধরে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম দফায় টিকার আওতায় আসবেন। তবে তাদেরও নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার পর ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার দিন ও সময় জানানো হবে। ১৮ বছরের নিচে ও প্রসূতিরা টিকার আওতায় আসবে না। টিকাদানের জন্য প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ২ জন করে নার্স এবং ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন।’

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ডোজ পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, ‘আগে জানানো হয়েছিল- প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন তথ্যানুযায়ী, প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। নতুন নিয়ম জানার পর টিকাদান পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরও টিকা চলে আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত